Elise - A Responsive Blogger Theme, Lets Take your blog to the next level using this Awesome Theme

This is an example of a Optin Form, you could edit this to put information about yourself or your site so readers know where you are coming from. Find out more...


Following are the some of the Advantages of Opt-in Form :-

  • Easy to Setup and use.
  • It Can Generate more email subscribers.
  • It’s beautiful on every screen size (try resizing your browser!)
// // 1 comment

বর্তমান ঘটনাপ্রবাহঃ হযরত শাহ্‌ নিয়ামতউল্লাহ্‌ কাশ্মীরি (রহঃ) এর ভবিষৎবাণী অনুযায়ী

 * মুকুটবিহীন অযোগ্য বাদশাহ্‌গণ রাজত্ব করিবে। তাহারা অনেক আইন-কানুন জারি করিবে। কিন্তু সমস্তই অযোগ্য হইবে।
* ঘুষ এবং অলসতার কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারী কাজকর্ম সময়মত হইবে না।

* জ্ঞানীগণ নিজ নিজ জ্ঞানের উপর এবং বুদ্ধিজীবিগণ নিজ নিজ বুদ্ধির উপর অনুতাপ করিবেন। (যে, হায়রে! কী করিলাম, আর কী হইল। ) কিন্তু, অযোগ্যগণ উলঙ্গ নাচের নেশায় বিভোর হইবে।
* মানুষের মধ্যে সীমাহীনভাবে অন্যায় কার্যকলাপ সংঘটিত হইবে এবং রোজ রোজ বৃদ্ধি পাইবে।
* যুগের প্রতি ঔদাসীন্যের কারণে আদর এবং স্নেহ- নিষ্ঠুরতায়; আর, তাযীম ও সম্মান -
বেআদবীতে পরিবর্তিত হইবে।
* বোনেরা ভাইগণের সহিত, মা ছেলের সহিত এবং পিতা কন্যার সহিত যৌন অপরাধ করিবে।
* হারাম-হালালের পার্থক্য মোটেই থাকিবে না এবং মহিলাদের অপহরণ করা হইবে, শালীনতা ও ইজ্জ্বত লুন্ঠন করা হইবে।
* বেপর্দা এবং উলঙ্গপনা সাধারণ ব্যাপার হইবে; মহিলাগণ বাহ্যতঃ বেশ সতীত্ব প্রদর্শন করিবে; কিন্তু গোপনে দেহ ব্যবসা করিবে।
* অত্যন্ত হীন লোক বাহ্যতঃ বুযুর্গ হইবে; কিন্তু, গোপনে সামান্য পয়সার বিনিময়ে মেয়ে বিক্রির ন্যায় ঘৃণ্য পেশা অবলম্বন করিবে।
* রোযা, নামায, হজ্জ্ব, যাকাত, ফিতরা প্রভৃতি হইতে উৎসাহ কমিয়া যাইবে এবং এইগুলি মুসলমানদের মধ্যে এক একটি বোঝা মনে করা হইবে।
* কলিজার রক্ত খাইয়া অত্যন্ত দুঃখের সহিত তোমাকে নসীহত করিতেছি যে, আল্লাহর ওয়াস্তে সেই ইংরেজী বেশ-ভূষা এবং চাল-চলন পরিত্যাগ কর।
* আল্লাহর ভয়াবহ কহর আসিবে; যাহা এই জাতীয় অপরাধের শাস্তি হিসাবে খুবই ন্যায় হইবে। অর্থাৎ, আল্লাহ্‌ পাক কতলের হুকুম দিবেন।
* সশস্ত্র বিধর্মীদের হাতে মুসলমান মারা যাইবে, পালাইবে এবং অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হইবে।
* মুসলমানদের স্থায়ী সম্পত্তি এবং প্রাণ দুইটিই মূল্যহীন- সস্তা হইবে; এবং তাহাদের রক্ত সমুদ্রের ন্যায় বহিবে।
* পাঞ্জাবের মধ্যস্থল হইতে দোযখী বাহির হইয়া যাইবে এবং তাহাদের বিষয় সম্পত্তি মুসলমানগণ অধিকার করিয়া লইবে।
* ঠিক ইহার বিপরীত ঘটনা মুসলমানদের শহরে ঘটিবে। অর্থাৎ, বিধর্মীগণ মুসলমানদের শহর জবর-দখল করিবে।
* মুসলমানদের সর্বাপেক্ষা বড় শহর বধ্যভূমিতে পরিণত হইবে। প্রত্যেক ঘরেই কারবালা হইবে।
* তখন মুসলমানদের নেতা এমন হইবেন, যিনি গোপনে মুসলমানদের শত্রুর বন্ধু হইবেন এবং প্রতারণামূলক চুক্তির মাধ্যমে মুসলিমদিগকে সাহায্য দান করা হইবে।
* উক্ত ঘটনা দুই ঈদের (অর্থাৎ, রোযার এবং কোরবানীর ঈদের) মধ্যবর্তী সময়ে ঘটিবে এবং বিশ্ববাসী হিন্দুদিগকে তিরষ্কার করিবে।
* এরপর, এক মহররম মাসে মুসলমানদের হাতে তলোয়ার (অস্ত্র) আসিবে। তখন মুসলমানগণ আক্রমণ করিতে অগ্রসর হইবে।
* সারা ভারতে তখন গন্ডগোল সৃষ্টি হইবে এবং ওসমান নামক এক ব্যক্তি তখন জেহাদের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হইবেন।
* সঙ্গেই হাবীবুল্লাহ্‌ নামক জনৈক ব্যক্তি- যিনি আল্লাহর পক্ষ হইতে নেকবখত হইবেন, আল্লাহর সাহায্যে তলোয়ার হাতে নিয়া অগ্রসর হইবেন। (হাবীবুল্লাহ্‌ যদি সেই ব্যক্তির নাম না হয়, তবে অর্থ হইবে এই যে, এক ব্যক্তি যিনি আল্লাহর বন্ধু হইবেন। আর, আল্লাহর বন্ধু যদি উল্লিখিত ওসমানও হন, তবে বিচিত্র নহে। এখানে আরও একটি কথা উল্লেখযোগ্য এই যে, যে ব্যক্তি মায়ের পেটে গর্ভধারণ করার সময় বা ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় মোশতরী এবং যোহরা একত্রিত হয় এবং উভয় নক্ষত্র একই কক্ষ পথে থাকে, সেই ব্যক্তিকে পরিভাষায় "সাহেবে কেরান" বলা হয় এবং সেই ব্যক্তি নিশ্চয়ই বাদশাহ্‌ হয় এবং তাঁহার বাদশাহী দীর্ঘস্থায়ী হয়। কিন্তু, সেই উভয় নক্ষত্র একত্রিত হইতে কোন কোন সময় শতাব্দীকালও বিলম্ব হয়। তৈমুর সম্বন্ধে কথিত আছে যে, তিনি সাহেবে কেরান ছিলেন।
* সীমান্তের মোজাহেদগণের দ্বারা ভূমি কম্পিত হইবে। তাঁহারা স্বীয় উদ্দেশ্য সাধনের জন্য (হিন্দুস্তানে) ঢুকিয়া পড়িবে।
* পিপীলিকার ন্যায় তাঁহারা রাতারাতি (প্রথম পদক্ষেপেই) জয়লাভ করিবে এবং ইহা সুনিশ্চিত সত্য যে, আফগান জাতি জয়লাভ করিবেই।
* আফগানী, দক্ষিণী এবং ইরানী - সম্মিলিতভাবে গোটা ভারত জয় করিবে।
* ইসলামের শত্রুরা সমস্তই মারা যাইবে এবং আল্লাহ্‌ পাক স্বীয় রহমত নাযিল করিবেন।
* একজন ইসলাম বিদ্বেষী বিধর্মী যাহার নামের আদি অক্ষর গাফ (ফার্সী ভাষায়) হইবে এবং তাহার নাম ছয় অক্ষর বিশিষ্ট হইবে, আল্লাহর মেহেরবাণীতে সে আন্তরিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করিবে।
* আল্লাহর রহমতে মুসলিম জাতি আনন্দিত হইবে এবং গোটা ভারত হিন্দুদের রীতি-নীতি হইতে সম্পূর্ণ পবিত্র হইবে।
* ভারতের ন্যায় ইউরোপের ভাগ্য বিড়ম্বিত হইবে এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধিবে।
* এই যুদ্ধে ইংরেজগণ এমনভাবে ধ্বংস হইবে যে, দুনিয়ার বুকে ইতিহাসের পাতায় ব্যতিত অন্য কোথাও তাহাদের অস্তিত্ব থাকিবে না।
* গায়েব (অদৃশ্য স্থান) হইতে তাহারা শাস্তি পাইবে, অপরাধী বলিয়া অভিহিত হইবে এবং
'নাসারা' নামক কোন জাতি পুনরায় কখনও মাথাচাড়া দিবে না।
* এই বেঈমানগণ গোটা বিশ্বকে ধ্বংস করার কুপ্রচেষ্টার কারণে অবশেষে চিরকালের জন্য জাহান্নামে পৌঁছিবে। ( উপর্যুক্ত কয়েকটি কথার কারণে লর্ড কার্জনের আমলে এই পুস্তিকা বা ভবিষৎবাণী ছাপানো নিষিদ্ধ করা হইয়াছিল। )
* যেই সমস্ত গোপনীয় বিষয় আমি প্রকাশ করিলাম উহা গায়েবী সাহায্যের জন্য গায়েবী ওস্তাদের কাজ দিবে।
* যদি জয় লাভ করিতে চাও এবং অবিলম্বেই চাও, তবে আল্লাহর ওয়াস্তে আল্লাহর আদেশ- নির্দেশ মানিয়া চল।
* যখন 'কা-না যাহুক্বা' এর বৎসর আসিবে, সেই বৎসরই প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদী (আঃ) আবির্ভুত হইবেন।
সাবধান নেয়ামতউল্লাহ্‌! নীরব হও, আল্লাহর গোপন তথ্য আর প্রকাশ করিও না।
অবশ্য যাহা বলা হইয়াছে উহা 'কুনতু কানযান' এর বৎসর। (হিজরী ৫৪৮ সাল)
***
Read More
// // 2 comments

অভিমানী তোতা

 এক আতর বিক্রেতার একটি তোতা পাখি ছিল। পাখিটি সুমধুর সুরে আওয়াজ দিতে পারিত। আতর বিক্রেতা তোতাকে দেখাশোনার জন্য রাখিত। ঐ তোতা মানুষের ন্যায় খরিদ্দারদের সাথে কথা-বার্তা বলিতে জানিত।
পাখিটি কথা বলার দিক দিয়া মানুষের ন্যায় ছিল। এবং সুমধুর গান করিতে সক্ষম সুচতুর ছিল। 
একদিন মালিক তোতাকে দোকান দেখাশোনা করার জন্য রাখিয়া বাড়ি চলিয়া গেল। হঠাৎ একটা বিড়াল একটা ইঁদুর শিকার করার জন্য লাফ দিয়া পড়িল। তোতা দোকানের মাঝখানে গদীতে বসা ছিল। বিড়ালের ভয়েতে নিজের প্রাণ রক্ষার জন্য লাফ দিয়া এক পার্শ্বে যাইয়া বসিল। সেখানে আতরের শিশিগুলো রাখা ছিল। তোতার পাখা ও পায়ে লাগিয়া সমস্ত শিশি পড়িয়া গেল। 
বাড়ি হইতে যখন মালিক আসিল এবং নিশ্চিন্তে দোকানে পৌঁছিল- তখন দেখিতে পাইল যে, সমস্ত দোকান এবং যে সমস্ত ফরাশ কাপড় বিছানো ছিল- সবই আতরে সিক্ত হইয়া গিয়াছে। মালিক নমুনা দেখিয়া বুঝিল যে, এই সব কান্ড ঐ তোতার কারণেই হইয়াছে। রাগান্বিত হইয়া তোতাকে এই পরিমাণ মারিল যে, তোতার ‘পালক’ সবই উড়িয়া গেল। অবশেষে টাক-পড়া হইয়া গেল। 
এরপর, কয়েকদিন পর্যন্ত তোতা রাগ হইয়া কথা বলা ত্যাগ করিয়া দিয়াছে। ইহাতে আতর বিক্রেতা অত্যন্ত দুঃখিত ও লজ্জ্বিত হইল এবং শুধু নিজের দাড়ি ও চুল অঙ্গুলি দিয়া মোচরাইতেছিল আর আফসোস করিতেছিল, আহা! আমার দোকানের রৌনাক চলিয়া যাইতেছে। যেমন, বাদলা দিনে সূর্যের কিরণ ঢাকিয়া যায়, জমিনের চাকচিক্য কমিয়া যায়, সেই রকম আমার দোকানের রৌশনি চলিয়া যাইতেছে। আমি যখন ইহাকে মারিতেছিলাম, তখন আমার হাত ভাঙ্গিয়া গেল না কেন! 
সে গরীব- মিসকীনকে দান-খয়রাত করিতে আরম্ভ করিল; যাহাতে তোতা পুনঃ কথা বলিতে আরম্ভ করে। 
এইভাবে তিন দিন তিন রাত্রি অতিবাহিত হইবার পর আতর বিক্রেতা অত্যন্ত চিন্তিত ও দুঃখিত অবস্থায় নিরাশ হইয়া দোকানে বসিয়া ভাবিতেছিল যে, দেখি, তোতা কোন্‌ সময় কথা বলে! নানা প্রকারের আশ্চর্যজনক বস্তু তাহাকে দেখাইতেছিল এবং অবাক হইয়া দাঁতে অঙ্গুলি কাটিতেছিল। তোতার সাথে নানা প্রকারের রং-ঢং এর কথাবার্তা বলিতেছিল, যাহাতে তোতা কথা বলিয়া উঠে। উহার কথা বলার আশায় সম্মুখে রং-বেরংয়ের ছবি নিয়া দেখাইতেছিল। কিন্তু কোন কিছুতেই ফল হইতেছিল না। 
তিন দিন পরে আতর বিক্রেতা নিরাশ অবস্থায় দোকানে বসিয়াছিল। এমন সময় ছেঁড়া কম্বল পরিধানকারী মাথায় টাক পড়া এক দরবেশ ওই দোকানের সম্মুখে দিয়া যাইতেছিল। তাহার মাথা শকুনের মাথার ন্যায় পরিষ্কার ছিল। তোতা তাহাকে দেখিবামাত্র বলিয়া উঠিল, “ওহে দরবেশ! তোমার মাথায় টাক! কীভাবে তোমার মাথায় টাক পড়িয়াছে? মনে হয় তুমি কাহারো আতরের শিশি ঢালিয়া ফেলিয়াছ!” 
লোকে তোতার এই কথা শুনিয়া হাসিয়া উঠিল এবং বলিল, দেখো, এই তোতা দরবেশকেও নিজের মত মনে করিয়াছে যে, 'এই ব্যক্তিও আমার ন্যায় আতর ফেলিয়া দিয়াছে। তাহাতে মার খাইয়া মাথার চুল উঠিয়া গিয়াছে। '
তাই,সবসময় অন্য লোককে নিজের মত মনে করা ভুলের শামিল। প্রায়ই বিভিন্ন লোককে একই রকম দেখা যায়; কিন্তু আমলের দিক দিয়া বিস্তৃত পার্থক্য থাকে। 
মৌমাছি ও বল্লা- দুইটি পোকা একই ফুল হইতে মধু পান করে; কিন্তু একটি শুধু দংশন করিতে জানে, অন্যটি মধু দান করে। দ্বিতীয় উদাহরণ, দুই প্রকার হরিণ প্রত্যেকেই জঙ্গলের ঘাস খায় ও পানি পান করে। এক প্রকার মেশক আম্বরবিহীন; অন্য প্রকার হইতে অতি মূল্যবান মেশক আম্বর সুগন্ধি (কস্তুরি) পাওয়া যায়। তৃতীয় উদাহরণ, একই স্থানের মাটির রস গ্রহণ করিয়া দুই প্রকারের গাছে ভিন্ন ফল প্রদান করে; যেমন, নারকেল গাছে নারিকেল দেয় এবং খেজুর গাছে খেজুর ও সুমিষ্ট রস দান করে। এই রকম শত সহস্র উদাহরণ দেখা যায়।
অতএব, ইহা পরিষ্কার যে, দুইটি বস্তু বা প্রাণী; অথবা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি কোনো কোনো দিক দিয়া এক হইলেও অন্যদিক দিয়া সুস্পষ্ট পার্থক্য থাকে। 
[ঈষৎ সম্পাদিত]
- মসনবী শরীফ। 
[লেখকঃ মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমী (রহঃ)]
***
Read More
// // 1 comment

বিমাতার আদর

 জনগণের আরামের জন্যে সরকার সুদের প্রচলন করেছে। প্রকাশ্য দৃষ্টিতে মনে হয় যে,সরকার জনগণকে অত্যধিক আদর করছে। বিনা পরিশ্রমে তাদেরকে (সুদ-নীতিতে) কখনও প্রাইজ বন্ড;কখনও লাভ,কখনও বোনাস,কখনও ইন্টারেস্ট নাম দিয়ে নানা রকম আর্থিক সুবিধা প্রদান করে চলেছে।
কিন্তু,বিনাশ্রমে এইসব সুবিধা পেয়ে জনগন যে অলস,অকর্মণ্য এবং অক্ষম হয়ে দিন দিন ধংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং আত্মার মৃত্যু হয়ে দ্বীনি আগ্রহ ও উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলছে সেদিকে কেউ লক্ষ্য করছে না। সরকারের মনোভাব হলো সেই স্ত্রীলোকটির মত যে তার সতীনের ছেলেটিকে অত্যধিক আদর করত।
অর্থাৎ,সেই স্ত্রীলোকটির দুইটি ছেলে ছিল। একটি নিজের ছেলে অপরটি সতীনের ছেলে। সে সতীনের ছেলেটিকে সব সময় কোলে রাখতো। উঠতে-বসতে, চলতে-ফিরতে ছেলেটিকে কখনও কোল থেকে নামাতো না। এমনকি কোলে-কাঁখে নিয়েই সংসারের কাজ-কর্ম করতো। পাড়ায় বেড়াতে গেলে সতীনের ছেলেটিকে কোলে এবং নিজের ছেলেটিকে হাত ধরে হাঁটিয়ে নিয়ে যেতো। পাড়ার মেয়েরা সব প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলো। সবাই বলতে লাগলো,‘মেয়েটির মনে একটুও হিংসা নাই। সতীনের ছেলেকে এত আদর করতে আর কোথাও দেখা যায়না। এরূপ সতী-সাধ্বী নারী আর হয় না।’
 কিন্তু,একদিন পাড়ার একটি মেয়েলোক এসে গোপনে সহানুভূতি স্বরূপ বললো,'বুবু! নিজের ছেলেকে অবহেলা করে সতীনের ছেলেকে এত আদর করা ঠিক হবে না। তাতে নিজেরই ক্ষতি।'
 মেয়েলোকটি বললো, 'না বুবু,এটা আমার ছেলের প্রতি অবহেলা নয়। নিজের ছেলেকে হাটিয়ে নিয়ে বেড়াই যেন তার পা শক্ত হয় এবং স্বাবলম্বী হয়ে সমাজে মজবুত হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর সতীনের ছেলেকে কোলে নিয়ে বেড়াই যেন সে কোনদিন হাঁটতে না শেখে। কোলে থাকতে থাকতে অচল এবং পঙ্গু হয়ে কোনদিন সে সমাজে মুখ তুলে দাঁড়াতে পারবেনা। এটা সতীনের ছেলের প্রতি আদর নয়। কিন্তু, মানুষ বুঝতে না পেরে আমার প্রশংসা করছে তা আমি কি করবো?'
 ঠিক সেইরূপ জাতি সুদ খেয়ে খেয়ে শ্রম বিমুখ হউক; অলস এবং অকর্মণ্য হউক,পঙ্গু হয়ে ধংস প্রাপ্ত হউক,তা হউক। কিন্তু,সরকার অবুঝ লোকদের প্রশংসা পেয়ে ধন্য,গর্বিত এবং আহ্লাদিত।
           - আল এফাযাতুল ইয়াওমিয়্যাহ।
               (খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৯)
Read More
// // Leave a Comment

দরূদ শরীফের ফযীলত

 ***"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম"***
সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র, যিনি সারা জাহানকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল নিয়মে পরিচালনা করছেন। আসমান ও যমীনের সকল স্তর যিনি সৃষ্টি করেছেন। জলধর মেঘমালা হতে যিনি প্রচুর বৃষ্টিপাত করেন।
খাদ্য-খাবার, অন্নদানা ও শস্যসমৃদ্ধ বিপুল প্রান্তর যিনি সৃজন করেছেন। প্রত্যেকের প্রাপ্য রিযিক ও সম্ভোগ্য সম্পদ যিনি সুনির্ধারিত করে দিয়েছেন। নেক আমল ও সনিষ্ঠ ইবাদতের প্রতিদানে যিনি সওয়াব ও পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন। 
দরূদ ও সালাম আমাদের মহান পথ-প্রদর্শক মাহ্‌বুব ও মুর্শিদ, অত্যুজ্জ্বল মু’জিযাত ও দেদীপ্যমান নিদর্শনাদির অধিকারী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি, যাঁর নূর ও কল্যাণের তোফায়েলে সমগ্র জগত অস্তিত্ব লাভ করেছে।
হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
'আল্লাহ্‌ তা’আলা একজন ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন, যার বিরাটকায় দেহের এক বাহু দুনিয়ার পূর্ব প্রান্তে এবং অপর বাহু দুনিয়ার পশ্চিম প্রান্তে। মাথা আরশের সন্নিকটে এবং পদদ্বয় যমীনের সপ্তম তবককেও অতিক্রম করেছে। তাকে সমগ্র জগতে বিস্তৃত সৃষ্টির সমপরিমাণ পর-পাখা দেওয়া হয়েছে। আমার উম্মতের মধ্যে কোন পুরুষ বা নারী যখন আমার প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করে, তখন আল্লাহ তা’আলা সেই ফেরেশতাকে এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন যে, সে যেন আরশের নীচে অবস্থিত ‘নূরের সাগরে’ ডুব দেয়। আল্লাহ্‌ তা’আলার নির্দেশ অনুযায়ী সে দরিয়াতে নিমজ্জিত হয়ে বাহির হয় এবং সর্ব শরীর ঝাড়া দেয়। ফলে, তার অসংখ্য পাখা হতে অগণিত পানি-বিন্দু ঝরে পড়ে। তখন আল্লাহ্‌ তা’আলা তাঁর কুদরতের দ্বারা ফেরেশতার গা থেকে ঝরে পড়া প্রতিটি বিন্দু হতে এক একজন ফেরেশতা সৃষ্টি করেন। 
এই অসংখ্য-অগণিত ফেরেশতা দরূদ পাঠকারী ব্যক্তির জন্য ক্কিয়ামত পর্যন্ত গুনাহ্‌-মাফীর দো’আ করতে থাকে।'
-মুকাশাফাতুল ক্কুলুব। [ইমাম গায্‌যালী (রহঃ)] [খন্ড ১, পৃষ্ঠা ১৩-১৪]
***
Read More
// // 1 comment

কাসীদায়ে শাহ্ নিয়ামতউল্লাহ কাশ্মীরি (রহঃ)

  “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’’
১. পশ্চাতে রেখে এই ভারতের অতীত কাহিনী যত
আগামী দিনের সংবাদ কিছু বলে যাই অবিরত।
২.দ্বিতীয় দাওরে হুকুমত হবে তুর্কি মুগলদের
কিন্তু শাসন হইবে তাদের অবিচার যুলুমের।
৩. ভোগে ও বিলাসে আমোদে-প্রমোদে মত্ত থাকিবে তারা
হারিয়ে ফেলিবে স্বকীয় মহিমা তুর্কি স্বভাব ধারা।
৪. তাদের হারায়ে ভীনদেশী হবে শাসন দন্ডধারী
জাঁকিয়া বসিবে, নিজ নামে তারা মুদ্রা করিবে জারি।
৫. এরপর হবে রাশিয়া-জাপানে ঘোরতর এক রণ
রুশকে হারিয়ে এ রণে বিজয়ী হইবে জাপানীগণ।
৬.শেষে দেশ-সীমা নিবে ঠিক করে মিলিয়া উভয় দল
চুক্তিও হবে, কিন্তু তাদের অন্তরে রবে ছল।
৭. ভারতে তখন দেখা দিবে প্লেগ আকালিক দুর্যোগ
মারা যাবে তাতে বহু মুসলিম হবে মহাদুর্ভোগ।
৮. এর পর পরই ভয়াবহ এক ভূ-কম্পনের ফলে
জাপানের এক-তৃতীয় অংশ যাবে হায় রসাতলে।
৯. পশ্চিমে হবে চার সালব্যাপী ঘোরতর মহারণ
প্রতারণাবলে হারাবে এ’রণে “জীম” কে “আলিফ” গণ।
১০. এ সমর হবে বহু দেশ জুড়ে অতিব ভয়ঙ্কর
নিহত হইবে এতে এক কোটি ত্রিশ লাখ নারী-নর।
১১.অতঃপর হবে রণ বন্ধের চুক্তি উভয় দেশে
কিন্তু তা’ হবে ক্ষণভঙ্গুর টিকিবে না অবশেষে।
১২. নীরবে চলিবে মহাসমরের প্রস্তুতি বেশুমার
‘জীম’ ও ‘আলিফে’ খন্ড লড়াই ঘটিবে বারংবার।
১৩. চীন ও জাপান দু’দেশ যখন লিপ্ত থাকিবে রণে
নাসারা তখন রণ প্রস্তুতি চালাবে সঙ্গোপনে।
১৪.প্রথম মহাসমরের শেষে একুশ বছর পর
শুরু হবে ফের আরো ভয়াবহ দ্বিতীয় মহাসমর।
১৫. হিন্দবাসী এই সমরে যদিও সহায়তা দিয়ে যাবে
তার থেকে তারা প্রার্থিত কোন সুফল নাহিকো পাবে।
১৬. বিজ্ঞানীগণ এ লড়াইকালে অতিশয় আধুনিক
করিবে তৈয়ার অতি ভয়াবহ হাতিয়ার আণবিক।
১৭. গায়বী ধ্বনির যন্ত্র বানাবে নিকটে আসিবে দূর
প্রাচ্যে বসেও শুনিতে পাইবে প্রতীচীর গান-সুর।
১৮.মিলিত হইয়া ‘প্রথম আলিফে’ ‘দ্বিতীয় আলিফ’ দ্বয়
গড়িয়া তুলিবে রুশ-চীন সাথে আঁতাত সুনিশ্চয়।
১৯.ঝাঁপিয়ে পড়িবে ‘তৃতীয় আলিফ’ এবং ‘দু’জীম’ ঘাড়ে
ছুড়িয়া মারিবে গযবী পাহাড় আণবিক হাতিয়ারে।
অতি ভয়াবহ নিষ্ঠুরতম ধ্বংসযজ্ঞ শেষে
প্রতারণাবলে প্রথম পক্ষ দাঁড়াবে বিজয়ী বেশে।
২০. জগত জুড়িয়া ছয় সালব্যাপি এই রণে ভয়াবহ
হালাক হইবে অগনিত লোক ধন ও সম্পদসহ।
২১.মহাধ্বংসের এ মহাসমর অবসানে অবশেষে
নাসারা শাসক ভারত ছাড়িয়া চলে যাবে নিজ দেশে।
কিন্তু তাহারা চিরকাল তরে এদেশবাসির মনে
মহাক্ষতিকর বিষাক্ত বীজ বুনে যাবে সেই সনে।
২২. ভারত ভাঙ্গিয়া হইবে দু’ভাগ শঠতায় নেতাদের
মহাদুর্ভোগ-দুর্দশা হবে দু’দেশেরি মানুষের।
২৩. মুকুটবিহীন নাদান বাদশা পাইবে শাসনভার
কানুন ও তার ফরমান হবে আজেবাজে একছার।
২৪.দূর্নীতি –ঘুষ, কাজে অবহেলা নীতিহীনতার ফলে
শাহী ফরমান হবে পয়মাল দেশ যাবে রসাতলে।
২৫.হায় আফসোস করিবেন যত আলেম ও জ্ঞানীগণ
মূর্খ বেকুফ নাদান লোকেরা করিবে আস্ফালন।
২৬.পেয়ারা নবীর উম্মতগণ ভুলিবে আপন শান
ঘোরতর পাপ–পঙ্কিলতায় ডুবিবে মুসলমান।
২৭.কালের চক্রে স্নেহ তমীযের ঘটিবে যে অবসান
লুন্ঠিত হবে মানী লোকদের ইযযত সম্মান।
২৮.পশুর অধম হইবে তাহারা ভাই –বোন, মা –বেটায়
জেনা –ব্যাভিচারে হইবে লিপ্ত পিতা আর কন্যায়।
২৯.উঠিয়া যাইবে বাছ ও বিচার হালাল ও হারামের
লজ্জ্বা রবে না, লুন্ঠিত হবে ইযযত নারীদের
৩০.নগ্নতা আর অশ্লীলতায় ভরে যাবে সব গেহ
নারীরা উপরে সেজে রবে সতী ভেতরে বেচিবে দেহ।
৩১.উপরে সাধুর লেবাস ভেতরে পাপের বেসাতি পুরা
নারীদেহ নিয়ে চালাবে ব্যবসা ইবলিস–বন্ধুরা।
৩২.নামায ও রোযা, হজ্জ্ব–যাকাতের কমে যাবে আগ্রহ
ধর্মের কাজ মনে হবে বোঝা–দারুণ দূর্বিষহ।
৩৩.কলিজার খুন পান করে বলি শোন হে বৎসগণ
খোদার ওয়াস্তে ভুলে যাও সব নাসারার আচরণ।
৩৪.পশ্চিমা ঐ অশ্লীলতা ও নগ্নতা বেহায়ামি
ডোবাবে তোদের, খোদার কঠোর গযব আসিবে নামি।
৩৫.ধ্বংস, নিহত হবে মুসলিম বিধর্মীদের হাতে
হবে নাজেহাল, ছেড়ে যাবে দেশ ভাসিবে রক্তপাতে।
৩৬.মুসলমানদের জান মাল হবে খেলনা–মূল্যাহত
রক্ত তাদের প্রবাহিত হবে সাগর স্রোতের মত।
৩৭.এরপর যাবে ভেগে নারকীরা পাঞ্জাব কেন্দ্রের
ধন–সম্পদ আসিবে তাদের দখলে মুমিনদের।
৩৮.অনুরূপ হবে পতন একটি শহর মুমিনদের
তাহাদের ধন–সম্পদ যাবে দখলে হিন্দুদের।
৩৯.হত্যা, ধংসযজ্ঞ সেখানে চালাইবে তারা ভারি
ঘরে ঘরে হবে ঘোর কারবালা ক্রন্দন আহাজারি
৪০.মুসলিম নেতা –অথচ বন্ধু কাফেরের তলে তলে
মদদ করিবে ওদেরকে সে এক পাপ চুক্তির ছলে।
৪১.প্রথমে তাহার ‘শীন’ অক্ষর থাকিবে বিদ্যমান
এবং শেষেতে ‘নূন’ অক্ষর রহিবে বিরাজমান
ঘটিবে তখন এসব ঘটনা মাঝখানে দু’ঈদের
ধিক্কার দিবে বিশ্বের লোক যালিম হিন্দুদের।
৪২.মুহররম মাসে হাতিয়ার হাতে পাইবে মুমিনগণ
ঝঞ্ঝার বেগে করিবে তাহারা পাল্টা আক্রমণ।
৪৩.সৃস্টি হইবে ভারত ব্যাপিয়া প্রচন্ড আলোড়ন
‘উসমান’ এসে নিবে জিহাদের বজ্র কঠিন পণ।
৪৪. ‘সাহেবে কিরান’-হাবিবুল্লাহ হাতে নিবে শমসের
খোদায়ী মদদে ঝাঁপিয়ে পড়িবে ময়দানে যুদ্ধের।
৪৫. কাঁপিবে মেদিনী সীমান্ত বীর গাযীদের পদভারে
ভারতের পানে আগাইবে তাঁরা মহারণ হুঙ্কারে।
৪৬. পঙ্গপালের মত ধেয়ে এসে এসব ‘গাযীয়ে-দীন
যুদ্ধে জিতিয়া বিজয় ঝান্ডা করিবেন উড্ডীন।
৪৭. মিলে একসাথে দক্ষিণী ফৌজ ইরানী ও আফগান
বিজয় করিয়া কবজায় পুরা আনিবে হিন্দুস্তান।
৪৮. বরবাদ করে দেয়া হবে দীন ঈমানের দুশমন
অঝোর ধারায় হবে আল্লাহর রহমত বরিষণ।
৪৯. দীনের বৈরী আছিল শুরুতে ছয় হরফেতে নাম
প্রথম হরফ “গাফ’ সে কবুল করিবে দীন ইসলাম।
৫০. আল্লাহর খাস রহমতে হবে মুমিনেরা খোশদিল
হিন্দু রসুম রেওয়াজ এ ভূমে থাকিবে না একতিল।
৫১. ভারতের মত পশ্চিমাদেরো ঘটিবে বিপর্যয়
তৃ্তীয় বিশ্ব সমর সেখানে ঘটাইবে মহালয়।
৫২. এই রণে হবে ‘আলিফ’ এরূপ পয়মাল মিসমার
মুছে যাবে দেশ, ইতিহাসে শুধু নামটি থাকিবে তার।
৫৩. যত অপরাধ তিল তিল করে জমেছে খাতায় তার
শাস্তি উহার ভুগতেই হবে নাই নাই নিস্তার।
কুদরতি হাতে কঠিন দন্ড দেয়া হবে তাহাদের
ধরা বুকে শির তুলিয়া নাসারা দাঁড়াবে না কভু ফের।
৫৪. যেই বেঈমান দুনিয়া ধংস করিল আপন কামে
নিপতিত হবে শেষকালে সেই নিজেই জাহান্নামে।
৫৫. রহস্যভেদী যে রতন হার গাঁথিলাম আমি তা-যে
গায়বী মদদ লভিতে, আসিবে উস্তাদসম কাজে।
৫৬. অতিসত্ত্বর যদি আল্লা’র মদদ পাইতে চাও
তাঁহার হুকুম তামিলের কাজে নিজকে বিলিয়ে দাও।
৫৭. ‘কানা যাহুকার’ প্রকাশ ঘটার সালেই প্রতিশ্রুত
ইমাম মাহদী দুনিয়ার বুকে হবেন আবির্ভূত।
৫৮. চুপ হয়ে যাও, ওহে ‘নিয়ামত’ এগিয়ো না মোটে আর
ফাঁস করিও না খোদার গায়বী রহস্য-আসরার।
এ কাসীদা বলা করিলাম শেষ ‘কুনতু কানযান’ সালে
অদ্ভুত এই রহস্য গাঁথা ফলিতেছে কালে কালে।
(কাসীদা সওগাত, কৃত-মাওলানা কবি রুহুল আমীন খান, বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশন।) 
Read More